ভালা বীজে ভালা ফলন
ভালা বীজ চিনমু ক্যামনে
কৃষিবিদ শেখ মোঃ মুজাহিদ নোমানী
দৃশ্যপট
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক এবং মধ্যবয়সী সচ্ছল কৃষক। খালি গায়ে গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরা মাথায় গামছা বাঁধা চিন্তাক্লিষ্ট মলিন মুখের ২-৩ জন কৃষক। একতারা হাতে বাউল-বাউলিনী ২ জন।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন। স্কুল বন্ধ। বাড়ির উঠানে গালে হাত দিয়ে চিন্তামগ্ন আছেন স্থানীয় শেরপুর সদরের সাতানীপাড়া প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার সাহেব। মাস্টার সাহেবের সম্মুখে মাথায় গামছা বাঁধা গেঞ্জি-লুঙ্গি পরা দুই-তিনজন চাষি চিন্তামগ্ন অবস্থায় মলিনমুখে বসে আছে। এ সময় বাউল-বাউলিনীর উঠানে প্রবেশ।
বাউল : আস্সালামু আলাইকুম মাস্টার সাব। কেমন আছেন?
মাস্টার সাহেব : গালে হাত, কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে বলেন-আছি কোনো মতে। ভালো নাই। খুব চিন্তায় আছি।
বাউল : কি যে কন মাস্টার সাব! ইসকুলের পরীক্ষা শেষ। ইসকুল বন্ধ। তাইলে কিসের এত চিন্তা?
মাস্টার সাহেব : মাস্টার সাহেব দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, চিন্তার কি শেষ আছে বাউল। বীজ বপনের সময় চলছে। ধান, গম, সবজি আর আলু চাষ করতে হবে। কিন্তু ভাবছি ভালো বীজ কোথায় পামু? ভালো বীজ কেমনে চিন্বো? ভালো বীজ চেনার উপায় কি?
বাউলিনী : মাস্টার সাব, কি যে কন! এইডা একটা চিন্তার বিষয় অইলো।
মাস্টার সাহেব : কি যে কও বাউলিনী, গত বছর খারাপ বীজ কিন্যা কী যে সর্বনাশ হইছে। বীজ গজাইছে কম, চারা দুর্বল অইছে। ফলে ফলন হইছে ম্যালা কম। সারা বছর ধান কিন্যা খাইতে হইছে, সংসারে অভাব ছাড়ে নাই। খুব কষ্টে দিন গেছে। সামনে বসে থাকা ২-৩ জন কৃষক একসঙ্গে বলে উঠল, ‘মাস্টার সাব যা কইছে এক্কেবারে হাছা কথা কইছে। আমরারও খুব ক্ষতি অইছে।’
বাউল : মাস্টার সাব আপনি কোন চিন্তা কইরেন না। ভালো বীজের উপর আপনাগোর একটা গান শুনাই। গানটা শুনলে আপনার বীজের সব সমস্যার সমাধান হইয়া যাইবো। ওরে বাউলিনী গলা ধর,বলে বাউল একটু কেশে গলাটা পরিষ্কার করে নেয়। তারপর পুঁথির সুরে গান ধরে-
“শোন শোন কৃষক ভাই, শোন দিয়া মন।
প্রত্যায়িত বীজের কথা, করিব বর্ণন। ভালা বীজে ভালা ফসল, সুধী জনে কয়।
প্রত্যায়িত বীজই ভালো বীজ, জানিবে নিশ্চয়।
বিশ ভাগ বেশি ফলন, পাইতে হইলে ভাই,
প্রত্যায়িত বীজ ছাড়া, আর যে উপায় নাই।
প্রত্যায়িত বীজে অধিক লাভ, জানিও সবাই
থাকিবে না কোন অভাব, সন্দেহ যে নাই।
প্রত্যয়ন ট্যাগ দেখিয়া, বীজ কিনিও ভাই
টাকা দিয়া বীজ কিনিয়া, ঠকার ভয় নাই।
এই বীজে আছে ভাই, সকল ভালো উপাদান!
এই বীজের ব্যবহারে, বাড়বে দেশের মান।”
আজ তাই সব কৃষকের দৃঢ়সংকল্প “প্রত্যায়িত বীজ বিনা নাই যে বিকল্প।”
(দৃশ্য পট : দেখা গেল মাস্টার সাহেবের মুখে চিন্তার আর কোনো চিহ্ন নাই। তিনি খুব খুশি, চোখে মুখে বিরাট একটা গুপ্তধন পাওয়ার আনন্দ উচ্ছ্বাস)।
মাস্টার সাহেব : বাউল তাইলে শোন। দেশি-বিদেশি অনেক কোম্পানির বীজের নাম শুনছি। কিন্তু ‘প্রত্যায়িত বীজ’ এর কথা আগেতো শুনি নাই। প্রত্যায়িত বীজ দেখতে কেমন? এই বীজ কোথায় পাবো?
বাউল : বাউল বলে, মাস্টার সাব কোনো চিন্তা কইরেন না। আপনারা হ¹লে মনোযোগ দিয়া হুনেন। ‘ভালা বীজে ভালা ফসল’। আর ‘প্রত্যায়িত বীজই অইলো ভালা বীজ।’ প্রত্যায়িত বীজ হইতাছে সেই বীজ যেডা বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী’- প্রত্যয়ন দিয়া থাকে।
মাস্টার সাহেব : তাইলে বীজ প্রত্যয়ন অফিসের কাজটা কি? কেমনে কইরা বীজের প্রত্যয়ন দেয়, একটু বুঝাইয়া কওতো দেখি।
বাউল : মাস্টার সাব তাইলে শুনেন। জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিস অইলো কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী’র একটা পুরাপুরি সরকারি অফিস। এই অফিস হইতে বাংলাদেশে যত বীজ আছে সব বীজের বিশেষ কইরা আপনাগোর ধান, পাট, গম, আলু ও কেনাপের উন্নত জাতের ভালা বীজের গেরান্টি দেয়; মানে বীজের প্রত্যয়ন বা ভালা সার্টিফিকেট উনারাই দিয়া থাকেন। ফলে এই বীজের ফলন বেশি হইবো, টাকা পয়সাও বেশি পাইবেন।
মাস্টার সাহেব : তাইলে তো এই বীজই ভালো। এই তোমরা হ¹লে শোন, এই বীজের লাইগা চলো আমরা সবাই কাইলকা জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসে যাই।
বাউল : আগে ভালো কইরা হুনেন, তারপরে কই যাবেন ঠিক করবেন। মাস্টার সাব ঐ অফিসে যাইয়া কোন লাভ অইবো না। ওই অফিসে কোনো বীজ বেচাকেনা হয় না। উনারা শুধু বিভিন্ন সরকারি বা প্রাইভেট বীজ কোম্পানি যারা ভিত্তি ও প্রত্যায়িত বীজ উৎপাদন কইরা থাকে সেই ভালা বীজের প্রত্যয়ন অর্থাৎ সাট্টিফিকেট দিয়া থাকে। আর যেটা খারাপ বীজ সেটা উনারা বাতিল কইরা দেন। খারাপ বীজের প্রত্যয়ন তো উনারা দেনই না বরং কেউ যদি খারাপ বীজ বিক্রি করে, কৃষকদের সাথে চালাকি করে, মিথ্যা কথা কইয়া ঠকায়। তাইলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট করে, বীজ আইনে মামলা কইরা তাদের বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা কইরা থাকে।
মাস্টার সাহেব : খুশিতে বলে উঠেন, খুব ভালো কথাতো। বাউল, এর আগে আমারে তো কেউ এই সব কথা বলে নাই। তোমার কথা শুইনা আমি এখন বুঝতে পারছি ‘প্রত্যায়িত বীজ’ ছাড়া আর কোনো বীজ ব্যবহার করা ঠিক হইবো না। গত বৎসর এই ভিত্তি প্রত্যায়িত বীজ ব্যবহার না কইরা কি ভুলটাই না করছি। এই বীজ প্রত্যয়নের অফিসটা আরো আগে হইলে ভালো হইত।
বাউল : বাউল এবার আয়েশী ভঙ্গিতে বলে মাস্টার সাব, এই অফিসটা নতুন না, পুরানা অফিস কিন্তু আমরা অনেকেই তা জানিনা। ‘ভালো বীজে ভালো ফলন’ আর ‘প্রত্যায়িত বীজই হইল ভালো বীজ’-এই কথাটা আমরা না বুঝলেও আমাগোর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঠিকই বুঝেছিলেন। আর চাষিরা যাতে সময়মতো ভালো বীজ পাইতে পারে তাই দেশ স্বাধীন হওয়ার ২ বছর পরেই ১৯৭৪ সালে ‘বীজ অনুমোদন সংস্থা’ নামে সারা বাংলাদেশে প্রথম ৩০টি বীজের অফিস চালু করেন, শুধু তাই না ঢাকা, গাজীপুর আর পাবনার ঈশ^রদীতে বীজ পরীক্ষা ও গবেষণার জন্য বীজ পরীক্ষাগার বানাইয়া দেন।
মাস্টার সাহেব : আচ্ছা বাউল, তুমি এত কথা জানলা কেমনে! আর প্রত্যয়ন ট্যাগ জিনিসটা কি? এইডা তো বুঝাইয়া কইলা না। মাস্টার সাহেবের একরাশ প্রশ্ন।
বাউল : হ মাস্টার সাব ঠিক কথাই কইছেন। প্রত্যয়ন ট্যাগ কেমনে চিনলাম এই কথাডা আপনারে কইতাছি । আমি গেল ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে জামালপুর জেলা স্টেডিয়ামে ৩ দিনের একটা উন্নয়ন মেলায় গেছিলাম। সেখানে জেলা বীজ প্রত্যয়নের স্টলে যাই। ওই স্টলে যাইয়া দেখি নতুন নতুন কথাবার্তা, কিছু নতুন বড় বড় ছবি, কয়েকটা মেশিন সাজানো আছে। আর চর্তুদিকে ৮/১০টি বীজের ফেস্টুন লাগানো আছে। এর মধ্যে থাইক্যা ‘মেশিনের সাহায্যে আসল-নকল প্রত্যয়ন ট্যাগ চেনা ও প্রতারণা হতে রক্ষার আধুনিক পদ্ধতি’ আমার কাছে খুবই পছন্দ অইল।
একটু দম নিয়ে বাউল আবার বলতে থাকে, স্টলে বসা টাক মাথার এক বীজ প্রত্যয়ন স্যারকে একটু ভয়ে ভয়ে আমি কইলাম ওই প্রত্যয়ন ট্যাগ দেইখা কেমনে ভালো বীজ চেনা যায় একটু যদি বুঝাইয়া কইতেন। তখন তিনি বললেন, বিডার বীজ বা প্রজনন বীজ এককথায় মৌল বীজ খুব যত্ন কইরা করতে হয়। এই বীজ শুধু ধান গবেষণা, পাট গবেষণা, গম গবেষণা, আলু গবেষণা এবং কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে উৎপাদন করা হয়। এই বীজ বিএডিসি, বড় বড় বীজ কোম্পানি কিন্যা নিয়া প্রথমে ভিত্তি বীজ করে, ভালো ফলন পায়। পরের বছর ভিত্তিবীজ অইতে প্রত্যায়িত বীজ করে। ফসলের মাঠে ও বীজ পরীক্ষাগারে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা কইরা এই প্রত্যয়ন ট্যাগ প্রত্যেকটি বীজের ব্যাগে লাগাইয়া দেয়া হয়। এই সব বীজের প্রত্যয়ন বীজ প্রত্যয়ন অফিস দিয়া থাকে। আর এই প্রত্যয়ন পত্র অর্থাৎ গ্যারান্টি সার্টিফিকেটই হইলো ‘প্রত্যয়ন ট্যাগ’- বুঝছেন মাস্টার সাব।
দৃশ্যপট : (এই বলে বাউল একটু চুপ করে। এ সময় মাস্টার সাহেব বলে উঠেন)।
মাস্টার সাহেব : বাউল তোমারে ধন্যবাদ। এইবার বুঝছি প্রত্যায়িত বীজ আর প্রত্যয়ন ট্যাগ কি। কিন্তু প্রত্যয়ন ট্যাগ দিয়া বীজ চিনুম কিভাবে এইডা যদি একটু খোলাসা কইরা কইতা তাইলে ভালো হইতো।
বাউল : একটু দম নিয়া বাউল আবার বলা শুরু করলো, প্রত্যেকটা বীজের লাইগ্যা আলাদা আলাদা প্রত্যয়ন ট্যাগ আছে যেমন বিডার বা মৌল বীজের ট্যাগ অইবো ‘সবুজ রঙের’, ভিত্তি বীজের ট্যাগ অইবো ‘সাদা রঙের’, আর প্রত্যায়িত বীজের ট্যাগের রঙ অইবো ‘নীল রঙের’। এখন সরকারি কড়া নিয়ম অইলো যে, ২ কেজি, ১০ কেজি ধান বীজ, গমের ২০ কেজি আর ৪০ কেজি বীজ আলুর প্যাকেটের গায়ে বা উপরে এই প্রত্যয়ন ট্যাগ অবশ্যই লাগানো থাকতে অইবো। যাতে কৃষক ভাইয়েরা সহজেই এই প্রত্যয়ন ট্যাগ দেইখ্যা বুঝতে পারে কোনডা ভিত্তিবীজ, কোনডা প্রত্যায়িত বীজ আর কোনডা অপ্রত্যায়িত বীজ অর্থাৎ ‘অপ্রত্যায়িত বীজ’ অইলো ‘মানঘোষিত বীজ’। এই মানঘোষিত বীজের জন্য বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি কোনো প্রত্যয়ন ট্যাগ দেয় না। এই বীজের মান বা গুণাগুণ বীজ প্যাকেটের গায়ে বা ব্যাগের সঙ্গে লাগানো ট্যাগের মতো দেখতে হলুদ কার্ডে সব লেখা থাকে। আর এই বীজের ভালো, মন্দ বা খারাপ হওয়ার দায়দায়িত্ব বীজ উৎপাদনকারী ওই কোম্পানির। কোম্পানির বীজ খারাপ হইলে তার বিরুদ্ধে সরকার মামলা-মোকদ্দমা করে, মোবাইল কোর্ট কইরা শাস্তি দেয়, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো বীজ ডিলার বা বীজ কোম্পানি খারাপ বীজ বেচাকেনা করতে সাহস না পায়।
বাউল : আরেকটা কথা বীজ কিনার সময় স্যার কইছেন বীজ ব্যাগে/প্যাকেটে লাগানো প্রত্যয়ন ট্যাগ আসল না নকল তা বীজ ডিলারের দোকানে থাকা ইউভিএল(টঠখ) লাইট মেশিনে দেইখা নিতে কইছেন। তাইলে আর ঠকার ভয় নাই।
মাস্টার সাহেব : আচ্ছা, এই মানঘোষিত বীজটা কেমন?
বাউল : উত্তরে বলে, মাস্টার সাহেব এই বীজ ভালো তবে এই বীজ নিয়া খাবার ধান, গম, আলু, সবজি ও পাট ভালো অইবো কিন্তু এই বীজ অইতে আবার বীজ ফসল করলে ভালো বীজ অইবো না। তয় এই বীজ হতে খাওয়ার ধান, গম, আলুর ভোজন ফসল করা যাইবো, কোনো অসুবিধা নাই। তবে এই বীজের সঙ্গে অন্য বীজের পার্থক্য একটাই, সেটা অইলো এই মানঘোষিত বীজের জন্য সরকার কোনো প্রত্যয়ন ট্যাগ দেয় না। উৎপাদনকারী নিজেই প্যাকেটের গায়ে বীজের মান ঘোষণা কইরা দেয় অর্থাৎ হলুদ কার্ডে প্যাকেটের উপর বীজের মান লেইখা দেয়।
মাস্টার সাহেব : খুশি মনে বলে উঠেন বাউল তোমারে আবারও ধন্যবাদ। হ্যাঁ বাউল, ভালো বীজ সম্বন্ধে আমার এখন একটা পরিষ্কার ধারণা হইয়া গেল। আমরা সবাই চেষ্টা করমু অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য ভিত্তি ও প্রত্যায়িত বীজ ব্যবহার করার। এই দুইটা বীজ না পাইলে তখন আমরা এই মানঘোষিত বীজ ব্যবহার করমু। কি রহিম মিয়া, করিম মিয়া এখন বুঝলাতো প্যাকেটের বীজ পরীক্ষা না কইরা, বীজ না দেইখ্যা সহজেই ভালো বীজ মানে প্রত্যায়িত বীজ চেনার উপায়টা আমরা এখন সবাই বুঝতে পারছি।
ভালো বীজেই অধিক ফসল, দেশ ও জাতি হবে সুস্থ সবল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকারের যুগান্তকারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে আমাদের কোন চিন্তা নাই। কালকেই আমরা সবাই মিল্যা বাজারে যাইয়া বীজ ডিলারের দোকান হইতে ভিত্তি/প্রত্যায়িত বীজ কিন্যা আনবো, ঠিক আছে না!
(বিঃ দ্রঃ : ‘ভালো বীজ তথা প্রত্যয়নকৃত বীজ চেনার সহজ উপায় এবং প্রতারণা হতে রক্ষার আধুনিক পদ্ধতি’ শীর্ষক উদ্ভাবনী উদ্যোগের আলোকে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে এই ছোট একাংকিকাটি রচনা করা হয়েছে।)
লেখক : উপপরিচালক ও জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার (অব.), এসসিএ, কৃষি মন্ত্রণালয়। মোবাইল : ০১৭১৮-৭৩৯৮৫৫, ইমেইল : : nomani1961@gmail.com